প্রকাশিত: ১১/০১/২০১৭ ৭:৪৩ এএম

শাসকের শাসানি প্রকাশ্যে ঘোষণা করে বির্তক তৈরি করলেন পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যমন্ত্রী জ্যতিপ্রিয় মল্লিক। বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বাজে কথা বললেই আড়ং অর্থৎ রাম ধোলায় খাবে। নোট বাতিল ও প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে রাজ্যটির উত্তর চব্বিশ পরগনার ঠাকুরনগরে প্রতিবাদ সভায় এসে বিজেপির বিরুদ্ধে এরকম ভাবে বললেন খাদ্য মন্ত্রী জোতিপ্রিয় মল্লিক ।
তিনি আরো বলেন, প্রতিহিংসা বশত সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের সাংসদদের গ্রেফতার করছে মোদি। অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নির্মল ঘোষ, পার্থ ভৌমিক, সুরজিত বিশ্বাস, বিশ্বজিত দাসসহ অনেকেই।
বিজেপির দাবি, জ্যতিপ্রিয় মল্লিক তার ভাষনের বরাবরই বিজেপিকে এমন ভাবে আক্রমণ করলেন যেন বাংলার প্রধান বিরোধী শক্তি বিজেপি। বিজেপির যুব মোর্চা সভাপতি মনস্পতি দেব বলেন, ঠাকুর নগরে এসে বিজেপিকে ভয় দেখালে বিজেপি ভয় পাবে তা ভাবলে তৃণমূল ভুল ভাবছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ছাড়বে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের প্রাণ, জীবন এবং শক্তি। তাকে আক্রমণ করলে আমরা চুপ করে বসে থাকবো তা হতে পারে না। আমি হিংসার রাজনীতি পছন্দ করি না। তবে বিজেপি সংঘর্ষের জায়গায় যাচ্ছে। এরপর কি হবে।
খাদ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, দিলীপ ঘোষ লকেট চট্টপাধ্যায়রা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাব এবং কাপড় খুলে নেয়ার মত জঘন্য কথা বলেছেন। তাদের কি আপনি পুজা করবেন। আমরা কিছু বলবো না। সাধারণ মানুষ তাদের ধরে পেটাবে। দিলীপকে লকেটকে পুজা দেবেন। সাধারণ মানুষের হাতে মার খাবে। আমাদের কিছুই করার নেই। আপনি তো আটকাতে পারবেন না। আমরা কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছি। কিন্তু কতক্ষণ থাকবে তারা।
জ্যতিপ্রিয় আরো বলেন, অসভ্য বর্বর একটি রাজনৈতিক দলের নাম বিজেপি। আমরা দেখতে চাই কত লোককে গ্রেফতার করে। সীতার গায়ে হাত দিতে গিয়ে রাবন গেছে। মমতার গায়ে হাত দিতে গিয়ে বামফন্ট গেছে। এবার মমতার গায়ে হাত দিয়ে মোদির বংশ ধ্বংস হবে। ২০১৯ সালের পরে মোদি যখন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না তখন এই সিবিআইয়ের হাতে মোদি গ্রেফতার হবে। আমি যদি মনেকরি আমার তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বলি দু’ঘণ্টা সময় নেবেনা বিজেপিদের এলাকা ছাড়া করতে। উত্তর চব্বিশ পরগনার ঠাকুরনগরে প্রতিবাদ সভায় এসে এভাবেই হুশিয়ারি দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
বিজেপির বারাসত জেলার সাধারণ সম্পাদক শংকর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঠাকুরনগরের সভা পরিচালনা করেছি আমি। সেখানে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্ম্পকে কোনও কটু মন্তব্য করেননি। দিলীপ ঘোষের নামে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। যদি দিলীপ ঘোষ এই ধরণের মন্তব্য করতেন তাহলে সংবাদ মাধ্যমে তা আসত। বিজেপির কোনও পুরুষ রাজনীতিক কখনওই অন্য কোনও মহিলা রাজনীতিক সর্ম্পকে এ ধরণের মন্তব্য করেন না। প্রধানমন্ত্রী টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম বরকতি প্রধানমন্ত্রী সর্ম্পকে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের সাংসদ ইদ্রিসকে পাশে বসিয়ে তা ভারতীয় সংস্কার বিরোধী। পাশাপাশি উস্কানীমূলক। আর সেই তৃণমূল বলছে, বিজেপি হিংসা ছড়াচ্ছে। জনগণ সব বুঝতে পারছে। উনিশে এই জনগণই সব উল্টে দেবে।

মানবকণ্ঠ

পাঠকের মতামত

দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রাখাইন, নতুন আশ্রয়প্রার্থীর আশঙ্কায় বাংলাদেশ

নজিরবিহীন সংকটে পড়তে যাচ্ছে প্রতিবেশী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় উন্নতির সম্ভাবনা না থাকায় ...

আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশাল সুযোগ’ পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

মিসরের বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড ...